দেশইনফো প্রতিবেদক: ষড়যন্ত্রকারীরা কৌশলে এ নির্বাচন বন্ধ করেছে বলে দাবি করেছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়রপ্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম। সকালে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের পর সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনমুখী। সরকার ও আমাদের বিব্রত করার জন্য এ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। উচ্চ আদালতে গিয়ে এ স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করারও ঘোষণা দেন তিনি।
২০১৩ সালে সাভারের ছয়টি মৌজাকে (শিমুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়বাড়ী, ডোমনা, শিবরামপুর, পশ্চিম পানিশাইল, পানিশাইল ও ডোমনাগ) গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। কিন্তু তা নিষ্পত্তি না হওয়ায় পুনরায় রিট দায়ের করা হলে রোববার আদালত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিতের আদেশ দেন।
গাজীপুর সিটির সীমানা নিয়ে ঢাকার সাভার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম আজাহারুল ইসলাম সুরুজ এ রিট আবেদন করেন। ওই রিট আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তিন মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন।
এদিকে নির্বাচন স্থগিতের খবরে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থগিতাদেশের ঘোষণা শুনে মহানগরীতে এক ধরণের স্থবিরতা বিরাজ করছে। এতে গত কয়েকদিন যাবত ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়া নির্বাচনী আমেজ যেন মুহূর্তেই স্তব্ধ হয়ে গেছে। মহানগরীর অনেক নাগরিকের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচন স্থগিত করায় তারা স্তম্ভিত ও হতাশ।