এইচ আর মিলু: সরাসরি বলি সারা হোসেনের নিয়োগ বাতিল চাই। কারণ আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুন্যাল এর বিচার স্বচ্ছ নয়, বলে এই আদালতের দেওয়া সকল রায়কে অস্বীকার করে, ৭১ এর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধকে অস্বীকার করেছিলো ব্রিটিশ নাগরিক ডেভিড বার্গম্যান।
শুধু তাই নয়, তার শ্বশুর ডঃ কামাল হোসেন ও বার্গম্যানের স্ত্রী ব্যারিস্টার সারা হোসেন মিলে নানা সময়ে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবু্ন্যাল নিয়ে বিতর্কে মত্ত ছিলেন।
যুদ্ধাপরাধীদের পেইড এজেন্ট হয়ে নানা অপচেষ্টায় লিপ্ত এই ডেভিড বার্গম্যান।
ডঃ কামাল হোসেন ও তার মেয়ে সারা হোসেন প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যার বিরুদ্ধে অপকর্মে লিপ্ত, তা কারো অজানা নয়। পলাতক আসামী তারেক রহমানের সাথে নানা সময়ে এই প্রবীন আইনজীবি ও তার কন্যা সারা, কন্যার স্বামী ডেভিড বার্গম্যান যোগাযোগ করেছেন বলে পত্রিকায় এসেছে অনেকবার।
মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের সন্মানিত ট্রাস্টি, জনাব মফিদুল হক সাহেব, আপনি তো দুধের শিশু নন যে এসব তথ্য জানেন না। শেখ হসিনা বাদ দিলাম, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী জামাত ও তাদের রাজাকারদের পক্ষে কাজ করা পরিবারের এই সারা হোসেনকে আপনার কেন গণহত্যা বিষয়ক কোর্সের শিক্ষক নিয়োগ দিতে হলো?
গণহত্যা নিয়ে শিক্ষা দেবার মতো কোন যোগ্য আইনজীবি কি দেশে আর একটাও নাই? আপনি কখনো কি বঙ্গবন্ধু কন্যার সহযোগিতা বঞ্চিত হয়েছেন? আপনাকে সন্মানের কত বড় একটা যায়গায় আমরা রেখেছি।
আজ কিনা বঙ্গবন্ধু কন্যার বিরুদ্ধে অপকর্মে লিপ্ত একজনকেই নিয়োগ দিলেন? আপনি কি বুঝতে পারছেন আমাদের আবেগ ও অনুভূতির জায়গাটায় আপনি কতটা আঘাত করেছেন?
অবিলম্বে নিয়োগ বাতিল করে, মুক্তিযোদ্ধাদের এই প্রজন্মের কাছে আপনার সন্মান অক্ষুন্ন রাখুন।