একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে নির্বাচন করবেন আলোচিত অভিনেত্রী ময়ুরী। রোববার (১১ নভেম্বর) বিকেলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে মনোনয়নপত্র কিনবেন জানিয়ে ময়ুরী বলেন, ‘এলাকাবাসী চাইছেন আমি নিজ এলাকা থেকে নির্বাচন করি। এজন্য এলাকাবাসীর ভালোবাসায় মানুষের সেবা করতে নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অবশ্য অনেক আগেই দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা আমাকে মৌখিকভাবে মনোনয়ন দিয়ে দিয়েছেন। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি।’ নির্বাচনে জয়ী হয়ে জনগণের সেবা করতে দেশবাসীর কাছে দোয়া চান অভিনেত্রী ময়ুরী।
এছাড়া তিনি জানান ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির অনুপ্রেরণাই তার রাজনীতিতে আসা।’
উল্লেখ্য, ময়ূরীর প্রকৃত নাম মুনমুন আক্তার লিজা।১৯৯৮ সালে “মৃত্যুর মুখে” চলচ্চিত্রে অভিনয় করার মধ্যে দিয়ে হাতেখড়ি হয়। ময়ূরীর খোলামেলা পোশাক, অশালীন অভিনয় ইত্যাদি কারণে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন। চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার অবসর নিয়ে ময়ুরী নিউ অপেরা নামক সার্কাস দলে যোগ দিয়েছিলেন।
আরো পড়ুন:
৩ আসনে মনোনয়ন ফরম নিলেন খালেদা জিয়া
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তিন আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সোমবার সকালে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়।
সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে ফেনী-১ আসন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান।
বগুড়া-৬ আসন থেকে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বগুড়া-৭ আসন থেকে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়।
একই সঙ্গে তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করে রায় ঘোষণা করেন বিচারিক আদালত।
রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়।
গত ৩০ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া অপর আসামিদের ১০ বছরের সাজা বহাল রাখা হয়েছে।