রিদওয়ান রিফাত: রুপকথার সৌন্দর্যের আরেক নাম “সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়”। বৃষ্টির মৌসুম দেখে হাওরের পানি আর সবুজ পাহার তার আসল রুপেই ধরা দিচ্ছে।
আগেই বলে রাখি যাদের পাহাড়, সবুজ এবং পানি খুব টানে তাদের জন্য একরকম ফরজ এই ট্যূর। প্রথমেই আসি হাওরের পানির কথা, একদম পরিস্কার, স্বচ্ছ মনেই হতে পারে বৃহদাকৃতির কোনো সুইমিং পুলে আছেন। সেখানেই আপনাকে ট্রলারের উপরে ১-২ দিন থাকতে হবে, আস্তে আস্তে ট্রলার এগিয়ে যাবে ট্যাকেরঘাটের দিকে যেটা একদম ভারতের সীমান্তের কাছে, খুবি কাছে।
এতো সুন্দর পাহার আর সুন্দর সবুজাভ দৃশ্য যেকোনো ওয়াল পেপার কেও হার মানায়। তার সাথে আছে নিলাদ্রি লেক, ট্যাকেরঘাটের কয়লা প্রকল্প, জাদুকাটা নদী, স্থানীয় একটা ঝরনা, সিমুল বাগান, বারেক্কা টিলা।
ভোরের আবহাওয়ার ব্যাখ্যা দেয়া একদম অসম্ভব।খুবি কম খরচে ঘুরতে আস্তে পারে সুনামগঞ্জ, খারাপ লাগা অনেকটা অসম্ভব। আমাদের পার পারসন ২৬০০ টাকা লেগেছিল, আমরা এক রাত দুই দিন ছিলাম।ট্রলার ভাড়া অনেক ধরনের আছে, আমাদের ট্রলারের ভাড়া ছিল ৮০০০ টাকা এবং আমরা ছিলাম ১৪ জন।
লোকেশনঃ মহাখালী থেকে বাসে সুনামগঞ্জ, সুনামগঞ্জ থেকে লেগুনায় তাহেরপুর ঘাট, সেখান থেকে এক/দেড় দিনের জন্য ট্রলার ভাড়া করে টাঙ্গুয়ার হাওড়, ট্যাকের ঘাট।
বিঃদ্রঃ প্ল্যাস্টিক যেহেতু পচে না তাই দয়া করে হাওরের স্বচ্ছ পানিতে এবং পাহারে প্ল্যাস্টিক ফেলবেন না, পাথরের গায়ে অজথা আকাআকি করবেন না। ভালো এবং কম খরচে সেইফ একটা ট্যূর তাহলে হয়েই যাক।