বর্ষায় সাজেকের রূপ

0
335

মোহনা মুক্তা: সাজেক কে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই, ভ্রমণ পিপাসু সবাই কম বেশি এর কথা জানেন। ক্লাস আর কাজের চাপে হাঁপিয়ে উঠে , দেহ ও মনকে একটু প্রশান্তি দিতে ছুটে চললাম সাজেকের দিকে। খাগড়াছড়ি হতে সাজেক পর্যন্ত পুরো জার্নি টাই অবাক করেছে আমায়, তার মধ্যকার ফ্রেমে বন্দী কিছু মুহূর্ত দিলাম।

যা যা দেখবেন।
১. সাজেক ভ্যালি
২. কংলাক পাড়া
৩. হাজাছড়া ঝর্না
৪. আলুটিলা গুহা
৫. রিসাং ঝর্না
৬. দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ

কিভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি ছেড়ে যায় এমন বাসের সংখ্যা খুবই কম, তাদের মাঝে অন্যতম ঈগল পরিবহন, শান্তি পরিবহন, সেন্ট মার্টিন পরিবহন। আমরা ঈগলের AC বাসে ৮০০ টাকা ভাড়া দিয়ে খাগড়াছড়ি নেমেছিলাম , ঈগলের non-ac 520 টাকা করে। অন্যদিকে কেউ খাগড়াছড়ি না নেমে যদি দীঘিনালা সরাসরি যেতে চান তাহলে শান্তি পরিবহন এ যেতে পারেন।

আমরা খাগড়াছড়ি নেমে সকালের নাস্তা করে রিটার্ন টিকেট কেটে রাখি, তারপর শাপলা চত্বরে চাঁদের গাড়ী ঠিক করতে যাই, যদিও বলে রাখি শাপলা চত্বরে চাঁদের গাড়ির ভাড়া অনেক চাইসে, তাই ঐখান থেকে 40 টাকা ভাড়া দিয়ে দীঘিনালা বাজারে চলে যাই। ঐখান থেকে আপনারা চাইলে CNG, বাইক, চাঁদের গাড়ি সব রিজার্ভ নিতে পারবেন। দিন ভেদে চাঁদের গাড়ির ভাড়া 1 রাতের জন্য ৭১০০-৭৩০০ টাকা, আমরা দু রাতের জন্য চাঁদের গাড়ি 8000 টাকায় রিজার্ভ নিয়ে নেই (এর মধ্যে ড্রাইভার তার থাকা খাওয়া নিজে ঠিক করে নিবে এবং উপরের সব জায়গা ঘুরাবে)।

কোথায় থাকবেন:
সাজেক ভ্যালীর রুইলুই পাড়ায় অনেক মান সম্মত কটেজ ও রিসোর্ট আছে, এর মধ্যে Ruilui’s Queen ও দার্জিলিং রিসোর্টটা কম খরচে ভালো লেগেছে। আমরা দার্জিলিং রিসোর্টে 2 রুম 3500 টাকায় দুই রাত ছিলাম ( এক রুম ডাবল বেড, একরুম সিঙ্গেল বেড)।
দার্জিলিং রিসোর্টের বিশেষত্ব হলো 24 ঘন্টা পানি ও বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়েছি

কোথায় খাবেন?
সাজেকে খাবার এক বড় সমস্যা, তাই আগে থেকে অর্ডার করে রাখতে হয়, না হয় খাবার পাওয়া মুশকিল, আর আমার পার্সোনালি উপজাতিদের প্রাণী জবেহ করার প্রক্রিয়া পছন্দ হয়নি, আমরা বিসমিল্লাহ হোটেল এ ১৩০ টাকা প্যাকেজে ভাত, মুরগী, আলু ভর্তা, সবজী খেয়েছি। হ্যালিপ্যাড এর সামনে আর্মি ক্যান্টিন আছে ওখানেও খেতে পারেন, কিন্তু যাই করবেন আগে থেকে অর্ডার দিয়ে রাখবেন এতে বিড়ম্বনার পড়তে হবে না ।

সতর্কতা:
সাজেকে পানি আরেক বড় সমস্যা, কটেজ ও রিসোর্ট মালিকেরা 400 ফুট নীচ থেকে পানি গাড়িতে করে টেনে ভ্যালিতে আনে, তাই পানি অপচয় করবেন না,
উপজাতীদের সাথে ভালো ব্যবহার করুন, তারা এমনিও অনেক ভালো, এমন কোন কাজ করবেন না যাতে তারা কষ্ট পায়।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ, যেখানে সেখানে অপচনশীল বস্তু/ময়লা ফেলবেন না। সাজেকে যথেষ্ট পরিমান ময়লা ফেলার ঝুড়ি আছে, আবর্জনা নিদিষ্ট স্থানে ফেলুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here