(ওবাইদুল কাদের Vs হিরো আলম) হিরো আলম কে আপনি কোন অংশে কম মনে করেন?

0
509

 

 

 

 

 

 

(শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করেদিন)

হিরো আলম নির্বাচন করবে, তাতে হাসাহাসির কি আছে.?

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলোচিত শিল্পী হিরো আলমের মনোনয়ন ফরম কেনা নিয়ে ব্যাপক হাস্যরস হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হচ্ছেন হিরো আলম। তবে হিরো আলমের সমালোচকদের এক হাত নিয়েছেন থাইল্যান্ডে কর্মরত বাংলাদেশ দূতাবাসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা শাহনাজ গাজী। তিনি বলেছেন, হিরো আলম নির্বাচন করবে, তাতে এত হাসাহাসির কি আছে?

হিরো আলমের পক্ষ নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত শাহনাজ গাজী। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৭ মিনিটে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া শাহনাজ গাজীর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল-

‘হিরো আলম নির্বাচন করবে, তাতে এত বিরক্তি বা হাসাহাসির কি আছে? হিরো আলম তো সৎ উপার্জনে চলে। হিরো আলমের নির্দিষ্ট একটি পেশা আছে। সে তো চাঁদাবাজি করে না, মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে না। সে কারও জায়গা-জমি দখল করে না, মাস্তান পোষে না। হিরো আলম ইয়াবা বা অন্যান্য মাদকের ব্যবসা করে না। সে নিয়োগ-বদলি-তদবির দিয়ে পয়সা বানায় না।

হিরো আলম কোনো খুন-গুম করেছে বলেও শুনিনি। সে ঘুষ খায় না, সে অস্ত্র ব্যবহার করে না, মানুষকে ভয়ও দেখায় না। হিরো আলম পরের হক মেরে খায় না। হিরো আলম মিথ্যা বলে শোনা যায়নি। তার নামে কোনো মামলা নেই। হিরো আলম বউ পেটায় না, রাস্তাঘাটে নারীদের উত্ত্যক্ত করে না।

পরের বউ ভাগিয়ে নেয় না। হিরো আলম ঋণখেলাপি না, হিরো আলম দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে না। হিরো আলম রাজনৈতিক উদ্দেশে ধর্মকে ব্যবহার করে না, ধর্মের অবমাননাও করে না। হিরো আলম ভিন্ন মতাবলম্বী মানুষকে হয়রানি করে না।

হিরো আলম সুবিধা বুঝে দল পাল্টায় না, চোখপাল্টি দেয় না। সে গাড়ি ভাঙে না, আগুন লাগায় না, জনগণের সম্পদ নষ্ট করে না। হিরো আলম ভিনদেশের তাঁবেদারি বা দালালি করে না। অর্থের বিনিময়ে সে নিজ দেশ বা দেশের মানুষের স্বার্থ বিকিয়ে দেয় বলে মনে হয় না। সে প্রতিপক্ষের নামে কোনো মিথ্যাচার বা কুৎসা রটনা করে ফায়দা লুটে না। সে গুজব ছড়ায় না।1হিরো আলমের একমাত্র দোষ- সে খুব চিকনা। এই সামান্য দোষে তাকে নিয়ে এত ট্রোল করা কি যুক্তিযুক্ত?

হিরো আলম আরও বলেন, ‘আমি আগে থেকেই একটু বেশি সাহসী। আমার জীবনে ব্যর্থতা বলতে কিছু নেই। ইনশাআল্লাহ এখানেও আমি আশাবাদী।

প্রসঙ্গত ইউটিউবখ্যাত হিরো আলমের বাড়ি বগুড়া জেলায়। ইউটিউবে তার বিচিত্র অভিনয়, গান তাকে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনায় নিয়ে আসে। এর আগে এক ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যমকে হিরো আলম বগুড়া থেকে নির্বাচনের কথা বলেছিলেন। তখন অবশ্য কোন দল থেকে নির্বাচন করতে চান তা জানাননি।

প্রসঙ্গত বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচন করতে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন আলোচিত হিরো আলম। যিনি ইউটিউবের মাধ্যমে সর্বত্র পরিচিতি পান।

সোমবার বিকালে হিরো আলম জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেলরানার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে বগুড়া-৬ (সদর) আসনে নির্বাচন করার কথা ভাবছিলাম। কিন্তু বগুড়া-৪ আসনে আমার গ্রহণযোগ্যতা বেশি। যে কারণে সেখান থেকেই নির্বাচন করব।’

এমপি হয়ে সবাইকে দেখিয়ে দিতে চায় হিরো আলম,
এমপি হলে পরের বার মন্ত্রী নির্বাচন করবেন

মূলত নিজের তৈরি বিভিন্ন মিউজিক ভিডিও দিয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। এ মিউজিক ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সেগুলো নিয়ে ব্যাপক আকারে ট্রল হতে থাকে। এ থেকেই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও পরিচিতি পেয়ে যান হিরো আলম।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়ে ইতোমধ্যে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আকস্মিকভাবে আলোচনায় উঠে আসা বগুড়ার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েক বছর ধরে ব্যাপক আলোচিত হিরো আলমের হঠাৎ করে রাজনীতিতে আসা এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণায় নতুন করে এখন আলোচনায় তিনি।

তবে সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশনে হিরো আলমের দেয়া একটি সাক্ষাৎকার বেশ নজর কেড়েছে মানুষের। ওই সাক্ষাৎকারে হিরো আলমের দেয়া বক্তব্য শেয়ার করে এখন তার প্রশংসাও করছেন অনেকে।

কী বলেলেন হিরো আলম
হিরো আলমের মনোনয়ন ফরম কেনার খবর দেশের প্রতিটি গণমাধ্যমেই প্রচার হয়েছে। তার এই মনোনয়ন ফরম কেনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক হাসি-ঠাট্টা চলেছে।

এ বিষয়ে তিনি বলছেন, ‘অনেক স্টার-তারকা যদি বলেন আমি এমপি হবো, এইটা হবো, ওইটা হবো, তাদের নিয়ে কিন্তু কারো কোনো মাথা ব্যথা হয় না, হিরো আলম যদি কোনো পদে যায় তাহলে অনেক মানুষের কিন্তু মাথা ব্যথা বেড়ে যায়। হিরো আলম কেন এই পদে যাবে, হিরো আলমের কী আছে.. নেগেটিভ-পজেটিভ কিন্তু অনেক থাকেবেই.. কিন্তু তাদের কথা শুনলে তাহলে তো আমি এমপি হতে পারবো না.. আমি হিরোও হতে পারবো না।

নিজের দুর্বলতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি কিন্তু একটা দিকেই দুর্বল। আমার চেহারা নেই। আমি হয়তো দেখতে খারাপ। তাছাড়া বড় বড় ক্রিকেটাররা, বড় বড় শিল্পীরা, এই পর্যন্ত আসতে পারে.. তাদের চেহারা সুন্দর বলে এই পর্যন্ত আসতে পারে? আমার চেহারা সুন্দর কম দেখে আমি এই জায়গাতে আসতে পারি না? কিন্তু চেহারা সুন্দর হলে কী হবে তারা প্রতিভাটা দেখাক..

ওই সাক্ষাৎকারে আত্মবিশ্বাসের সাথে হিরো আলম বলেন, আমাকে হিরো আলম কে তৈরি করেছে? আমি নিজে নিজে তৈরি হয়েছি।

আক্ষেপের সুরে হিরো আলম বলেন, আমাকে যদি কেউ একজন ভালো করে অভিনয় শেখাতো তাহলে আমি ভালো করে অভিনয় শিখতাম, আমার যদি টাকা-পয়সা থাকতো, তাহলে কী করতাম? ভালো মতো আমি লেখাপড়া করতাম।

অর্থ-সম্পদ থাকলে লেখাপড়া শিখে শুদ্ধভাবে কথা বলতে পারতেন বলেও দাবি করেন হিরো আলম।

‘স্বপ্ন দেখা সহজ, বাস্তব করা অনেক কঠিন,’ এমন কথাও বলেন হিরো আলম।

হিরো আলমের রাজনীতিতে অংশগ্রহণকে অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন। তাদের বক্তব্য, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন সহজ-সরল মানুষের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। কারো কারো কাছে তার বক্তব্য খুবই সাবলীল এবং উপযোগী মনে হয়েছে৷

অন্যদিকে, কেউ কেউ বলেছেন, টেলিভিশন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তা দিয়ে রাজনীতি হয় না। একজন লিখেছেন, রাজনীতিতে সহজ-সরল মানুষের স্থান নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here