একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এ নির্বাচনেও বরাবরের মতো নোয়াখালী-৫ (কবিরহাট উপজেলা ও সদর উপজেলার নেয়াজপুর ও অশ্বদিয়া ইউনিয়ন) আসনে নির্বাচন করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বিএনপির মওদুদ আহমদকে হারান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবিএবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হলেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও চারবারের মতো মন্ত্রিসভায় নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর ২১ বছর রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে ছিল আওয়ামী লীগ। এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে ব্যক্তিগত জীবনে ছাত্ররাজনীতি করা ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই বছরের ২৩ জুন প্রথমবারের মতো যুব, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন।
২০০২ সালে আওয়ামী লীগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ওবায়দুল কাদের। পরে এক-এগারোর সেনা–সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় দেড় বছর কারাগারে ছিলেন তিনি। কারামুক্তির পর ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের। এরপর তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়–সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নতুন মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলেও শরিক দলের কোনো নেতাকে মন্ত্রিত্ব দেননি তিনি। এ ছাড়া কয়েকজন ছাড়া আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান সব নেতাকে বাদ দিয়ে অভিজ্ঞতায় নতুন, এমন ব্যক্তিদের মন্ত্রিত্ব দিয়েছেন শেখ হাসিনা। পুরোনোদের সংখ্যা কম হলেও শেষ পর্যন্ত টিকে যান ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের চারবারের মন্ত্রিসভায় চতুর্থবারের মতো মন্ত্রিত্ব ধরে রেখেছেন তিনি।
২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার প্রায় তিন বছর পর ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান ওবায়দুল কাদের। পরে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিএনপি–বিহীন নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরই মধ্যে ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান কাদের।