২০২১ সালের জুনের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ। সেতুর আর্থিক অগ্রগতি ৭৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ।’ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া-১ এর ভিজিটরস সেন্টারে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালের জুনের মধ্যে আমরা কাজ শেষ করতে চাই। তবে পদ্মা নদী খুবই আনপ্রেডিক্টেবল। একইসঙ্গে নদীতে তীব্র স্রোত থাকে এবং প্রচুর পলি বহন করে। এতে করে পিয়ারে স্প্যান বসানো সম্ভব হয় না। সিডিউল অনুযায়ী কাজ শেষ করা কঠিন হয়ে পড়ে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মূল সেতুর সবকটি পাইল ড্রাইভিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৪২টি পিয়ারের মধ্যে ৩২টি পিয়ারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি পিয়ারের কাজ চলমান আছে। মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়া সাইটে এসেছে ৩১টি। এর মধ্যে ১৪টি পিয়ারের ওপর স্থাপন করা হয়েছে। ১৫তম স্প্যান পিয়ার ২৩-২৪ এর কাছে রাখা হয়েছে। চারটি স্প্যান কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে আছে ও একটি চর এলাকায় ২৮ নম্বর পিয়ারের কাছে রাখা আছে।’
তিনি আরও জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) সেতু মন্ত্রণালয় সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি এমইও স্বাক্ষরিত হওয়ার ব্যপারে আলোচনা হয়েছে। জাজিরা প্রান্তে আধুনিক ও উন্নত মানের মিলিটারি ফার্ম স্থাপন করা হবে। এ জন্য সব মিলিয়ে ৫৯ একর জমি প্রয়োজন হবে। সেতু মন্ত্রণালয় এমইও মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করবে। সেখানে দুধ আর মাংস উৎপাদন হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। গবাদি প্রাণির প্রজনন ও জাত উন্নয়ন, অর্থনীতিতে জিডিপিতে উন্নতি রাখবে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হবে। এই জায়গাটুকু আমাদের পদ্মা সেতুর কোনো কাজে লাগবে না।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ার ইসলাম, পদ্মা বহুমুখী সেতুর পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্ম জায়েদুল আলম প্রমুখ।