পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সব জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি, সম্প্রীতি ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন সামাজিক সংগঠন ‘সিএইচটি সম্প্রীতি জোট’। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার থোয়াইচিং মং শাক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিএইচটি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী হাসান, নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন এবং স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির আহ্বায়ক জিয়াউল হক।
আয়োজকদের জানান, সংগঠনটি খুমি, শাক, লুসাই, পাংখোয়া, বম, খিয়াং, ম্রো, গুর্খা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, মারমা, চাকমা ও বাঙালি- এই ১৪টি জাতিসত্তার সম্মিলিত প্রতিনিধিত্ব ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করবে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ইঞ্জিনিয়ার থোয়াইচিং মং শাক আহ্বায়ক, ইখতিয়ার ইমন সদস্য সচিব এবং পাইশিখই মার্মা মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে আছেন শাহীন আলম, তন্ময় চৌধুরী, নিলা মং শাক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে সম্প্রীতি রক্ষা আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব। আমি বিশ্বাস করি, সিএইচটি সম্প্রীতি জোট দেশপ্রেমিক ও বহুজাতিসত্তার যে ঐক্য গড়ে তুলেছে, তা পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও সম্প্রীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।’
সভাপতির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার থোয়াইচিং মং শাক বলেন, ‘আমরা কোনো বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। আমাদের লক্ষ্য পার্বত্য চট্টগ্রামের সব জনগোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্য, শান্তি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়া। বিভাজন নয়, মানবতার ভিত্তিতে ভ্রাতৃত্বই হবে আমাদের মূল শক্তি।’
 
		