সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, যাত্রী কল্যাণ সমিতির ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে মৃত্যুর সংখ্যা ও আহতের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে দাবি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এমন বক্তবের বিরুদ্ধে যাত্রী কল্যাণ সমিতি প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে ঈদযাত্রায় আমাদের সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনটি নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। যা বিগত ২০১৫ সাল থেকে নিয়মিত প্রকাশ করে আসছি। আমাদের প্রকাশিত প্রতিবেদন সকল মহলে প্রসংশিত হয়েছে। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই প্রকাশিত প্রতিবেদনটি বস্তুনিষ্ট, নির্ভরযোগ্য ও সংঘটিত ঘটনার বাস্তবচিত্র।
সোমবার সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
তিনি বলেন, আমরা কখনো দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বাড়িয়ে বা কমিয়ে কোন প্রতিবেদন প্রকাশ করিনা। এক্ষেত্রে সব রকমের সাবধানতা, যাচাই-বাছাই করেই প্রতিবেদন তৈরী করা হয়। ইতিমধ্যে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমাদের প্রতিবেদনসমূহ যাচাই-বাছাই করে কোন ত্রুটি পায়নি। ২০১৬ সালে আমাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনা ও নিহতের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে বলা হলে তা দেশের বেসরকারি সংগঠনের প্রতিবেদন হিসেবে উপস্থাপন করে সরকার বাহবা নিয়েছে।
আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়কশক্তি হিসেবে কাজ করে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানো, ভাড়া নৈরাজ্য, যাত্রী হয়রানি বন্ধ করা ও সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখছি। দুঃখের বিষয় কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে দূরে রেখে সত্য গোপন করে নিজেরাই জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। আমরা রোগের চিকিৎসা করতে বলছি, কিন্তু তারা রোগের প্রকৃত চিকিৎসা না করে রোগ গোপন রাখতে চাইছে।
তিনি উল্লেখ করেন, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় বলছে, আমরা সম্মানিত লোকদের এনে সংবাদ সম্মেলনে বিভ্রান্তিকর তথ্যাদি দিচ্ছি। প্রকৃতপক্ষে আমরা সম্মানিত লোকদের আরো সম্মানিত করছি। যাঁরা সমাজ নিয়ে চিন্তা করেন তাঁরা আমাদের নানাভাবে সহযোগিতা করছে, উৎসাহ যোগাচ্ছে।
তিনি বলেন,সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতিকে নিবন্ধনহীন বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করে দেশের একমাত্র যাত্রীস্বার্থ সংরক্ষণকারী সংগঠনকে দুর্বল ও প্রশ্নবিদ্ধ করে মালিক-শ্রমিকদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি একটি সরকার নিবন্ধিত সংগঠন। নিবন্ধনকারী সংস্থার ওয়েবসাইটে সত্যতা মিলবে। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই যাত্রী কল্যাণ সমিতি ১৬ কোটি মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণে সব সময় আপোষহীন ভূমিকা রাখবে।
এক্ষেত্রে আমরা সরকার, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, গণমাধ্যম ও দেশবাসীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।