একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন কিনা তা নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আপিলে খালেদা জিয়ার আবেদন মঞ্জুর হলে তিনি সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। কারাগারে থাকায় আপিল আবেদনের শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তবে তার আইনজীবীরা শুনানিতে অংশ নেবেন। আইনজীবীরা আশা করেন, নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ মনোভাব দেখালে প্রার্থিতা ফিরে পাবেন খালেদা জিয়া। তবে, ইসির আপিলে আবেদন নামঞ্জুর হলেও তিনি উচ্চ আদালতে পুনরায় আপিলের সুযোগ পাবেন।
গত বুধবার (৫ ডিসেম্বর) খালেদা জিয়া আইনজীবীর মাধ্যমে প্রার্থীতা বাতিলের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল আবেদন জমা দেন। এর মধ্যে ফেনী-১ আসনে কায়সার কামাল, বগুড়া-৬ আসনে নওশাদ জমির ও বগুড়া-৭ আসনে মাসুদ আহমেদ তালুকদার এসব আবেদন জমা দেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর উপস্থিততে আপিল শুনানি গ্রহণ করা হচ্ছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার ১৫০ জনের আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করেছে ইসি। এর মধ্যে ৮৪ জন তাদের মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন। ৫৯ প্রার্থীদের আবেদন খারিজ হয়েছে। আর ৭ জনের প্রার্থিতার বিষয়টি স্থগিত রাখা হয়েছে।
এর আগে খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ফেনী-১ এবং বগুড়া-৬ ও ৭ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা হয়।
তবে তিনি দণ্ডিত হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তারা তার মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করেন।গত ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল আবেদন করেন।