শীতের দাপটে বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন। টানা কয়েক দিনের ঠাণ্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছেন শ্রমজীবীরা। দিনে আলো ফুটলেও নেই সূর্যের তেজ। গতকাল রোববারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রামে। এদিন ঠাণ্ডায় রাজারহাটে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় রোববার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ পরিস্থিতি আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলতে পারে বলে জানান তিনি।
গত দুই সপ্তাহ ধরে শীতের প্রকোপ থাকলেও শনিবার সন্ধ্যা থেকে এ জেলার তাপমাত্রা একেবারেই নিম্নগামী হয়ে পড়েছে। এতে গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধসহ নিম্ন আয়ের মানুষ।
দেশের সবচেয়ে দরিদ্রতম এ জেলার অসহায় ও দুস্থ মানুষের শীত নিবারণে সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা অপ্রতুল। এসব মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানরা এগিয়ে আসবে- এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের। এদিকে ঠাণ্ডায় রাজারহাটে ইরি-বোরো চারা তুলতে গিয়ে মো. আজাদ আলী (৪৩) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছে। তিনি আগে থেকেই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। চারা উত্তোলনের সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান আজাদ। ওই এলাকার ইউপি সদস্য বিপ্লব আলী ও সাবেক ইউপি সদস্য মাইনুল ইসলাম নিশ্চিত করেন।